ল্যাপটপ হ্যাং সমস্যার সমাধান
অফিসের গুরুত্বপূর্ন কাজ কিংবা গেমিং এর অ্যাকশন মোমেন্টে হঠাৎই ল্যপটপ হ্যাং হলে অবস্থাটা কেমন হয়! আমাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় আমরা এমন অনেক ক্লাইন্ট পেয়েছি যারা ল্যাপটপের হ্যাং ইস্যু নিয়ে বিরক্ত হয়ে নতুন ল্যাপটপ কিনছে। তবে এই সমস্যাগুলো পিছনে বেশিরভাগ সময়েই থাকে ছোটখাটো কারণ, যা কিছু সেটিংসের পরিবর্তনেই মিলতে পারে সমাধান। আজকে আমরা ল্যাপটপ হ্যাং সমস্যার সকল সম্ভাব্য কারণ ও সমাধান নিয়েই লিখবো। তাই পুরো লেখাটি পড়ে সমাধানের চেষ্টা করুন নিজেই।
ল্যাপটপ হ্যাং হওয়ার সাধারণ কারণ ও সমাধান
ল্যাপটপ হ্যাং হওয়া কোনো একদিনের সমস্যা না, এটা আপনার সিস্টেমে ধীরে ধীরে তৈরি হয়। আর এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ প্রায় সব ইউজারদের ক্ষেত্রেই দেখা যায়।
র্যাম বা মেমোরি কম থাকা
যদি একসাথে অনেক কিংবা একটা ভারি প্রোগ্রামও চালান আর ল্যাপটপে র্যাম কম থাকে, তাহলে প্রসেসরের উপর লোড বেড়ে যায়। ফলে ল্যাপটপ ধীরে ধীরে স্লো হয়ে হ্যাং করতে শুরু করে।
সমাধান
আপনার ল্যাপটপে যদি র্যাম এক্সটেন্ড অর্থাৎ বাড়িয়ে বা পরিবর্তন করে নেওয়ার অপশন থাকলে আগের থেকে বেশি স্টোরেজের র্যাম নিয়ে নিন। আর এটি সম্ভব না হলে Virtual RAM বা Virtual Memory ব্যবহার করে সিস্টেমকে অতিরিক্ত মেমোরি দিতে পারেন।
এই ভার্চুয়াল র্যাম আসলে হার্ড ড্রাইভের (HDD/SSD) একটি অংশকে সাময়িকভাবে র্যাম হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে আসল র্যাম কম পড়ে গেলেও সিস্টেম এই অতিরিক্ত স্পেস ব্যবহার করে কাজ চালাতে পারে। এটি সেটআপ করার পদ্ধতি নিচে ধারাবাহিকভাবে দেয়া হলোঃ
ধাপ ১:
- প্রথমে File Explorer বা This PC খুলুন।
- “This PC” আইকনে Right-click করুন এবং Properties এ ক্লিক করুন।
ধাপ ২:
- বাম দিকে থাকা Advanced system settings এ ক্লিক করুন।
- নতুন একটি উইন্ডো আসবে, সেখানে Advanced ট্যাবে যান।
ধাপ ৩:
- Performance সেকশনে Settings বাটনে ক্লিক করুন।
- আবার Advanced ট্যাবে যান।
ধাপ ৪:
- নিচের দিকে Virtual memory সেকশনে Change বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫:
- “Automatically manage paging file size for all drives” এর টিক চিহ্ন উঠিয়ে দিন।
- যে ড্রাইভে বেশি ফাঁকা স্পেস আছে, সেটি সিলেক্ট করুন।
নোট: SSD-এর ড্রাইভ সিলেক্ট করলে ভার্চুয়াল র্যাম আরও ফাস্ট কাজ করবে। তবে C ড্রাইভে কম স্পেস থাকলে অন্য ড্রাইভ সিলেক্ট করুন।
ধাপ ৬:
- Custom size সিলেক্ট করুন এবং নিচের ফর্মুলা অনুযায়ী সাইজ সেট করুন:
- Initial size (MB): আপনার আসল র্যামের ১.৫ গুণ।
- Maximum size (MB): আপনার আসল র্যামের ৩ গুণ।
উদাহরণ:
যদি আপনার ল্যাপটপে 4GB র্যাম থাকে, তাহলেঃ
- Initial size: 4 × 1024 × 1.5 = 6144 MB
- Maximum size: 4 × 1024 × 3 = 12288 MB
ধাপ ৭:
- Set চাপার পর OK দিয়ে সব উইন্ডো বন্ধ করুন।
- এরপর ল্যাপটপ Restart করুন যাতে সেটিং একটিভ হয়।
আরও পড়ুন – ল্যাপটপ স্লো হয়ে গেলে করণীয়
হার্ড ড্রাইভের স্টোরেজ ফুল হয়ে যাওয়া
আপনার ল্যাপটপের প্রাইমারি (C:) ড্রাইভ প্রায় ফুল হয়ে গেলে হ্যাং হওয়াটা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে এই ড্রাইভে থাকা অপ্রয়োজনীয় ফাইল বা ডেটা ডিলিট করে দিন। আপনার ডাউনলোড এবং ইন্সটল করা সফটওয়্যারের ডেটাও কিন্তু সাধারণভাবে এখানেই সেইভ হয়।
সমাধান
অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো আনইনস্টল করে দিন। এছাড়া আপনার সিস্টেমে জমে থাকা অন্যান্য ফাইল ডিলিট করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরন করুন।
Recycle Bin খালি করুনঃ অনেকেই ফাইল ডিলিট করলেও সেটা রিসাইকেল বিনে থেকে যায়, যা আসলে মেইন স্টোরেজ দখল করে রাখে। Recycle Bin খালি করতে—
- ডেস্কটপে থাকা Recycle Bin আইকনে Right-click করুন।
- Empty Recycle Bin সিলেক্ট করুন, তারপর কনফার্ম করুন।
Run Command দিয়ে টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করুনঃ Windows অনেক সময় বিভিন্ন প্রোগ্রামের টাস্ক চালানোর জন্য টেম্পোরারি ফাইল জমিয়ে রাখে, যা পরে আর দরকার হয় না। এগুলো ডিলিট করতে—
- Windows Key + R চাপুন।
- %temp% লিখে Enter চাপুন।
- যে ফোল্ডার আসবে, সব ফাইল সিলেক্ট করুন (Ctrl + A) এবং Delete দিন।
- একইভাবে আবার Windows Key + R চাপুন, এবার একে একে temp লিখে Enter চাপুন এবং সব ফাইল ডিলিট করুন।
- পুনরায় Windows Key + R চেপে Prefetch লিখে Enter চাপুন এবং সব ফাইল ডিলিট করুন।
Disk Cleanup ব্যবহার করুনঃ উইন্ডজের বিল্ট ইন ক্লিনআপ ফিচার দিয়ে ডিস্ক ক্লিন করতে—
- This PC ওপেন করুন।
- যে ড্রাইভে স্পেস কম (সাধারণত C ড্রাইভ), সেটিতে Right-click করুন এবং Properties এ যান।
Disk Cleanup বাটনে ক্লিক করুন। - যেসব ফাইল মুছে ফেলতে চান (যেমন Temporary files, Recycle Bin, System cache) সেগুলোর টিক দিন।
- OK চাপুন এবং প্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
নোটঃ মাসে অন্তত একবার এইভাবে ক্লিনআপ করলে ল্যাপটপ অনেকটা স্মুথ থাকে। আরও পড়ুন – ল্যাপটপ চালু হচ্ছে না? জেনে নিন কিভাবে করবেন প্রাথমিক ট্রাবলশ্যুটিং
ব্যালেন্স মোড থেকে হাই পারফরম্যান্স মোড
অনেক ল্যাপটপে ডিফল্টভাবে Balanced Mode চালু থাকে। এটি মূলত পারফরম্যান্স আর পাওয়ার সেভিংয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে। এতে ব্যাটারি কিছুটা সাশ্রয় হলেও প্রসেসর তার পূর্ন ক্ষমতায় কাজ করে না। অনেক সময় এর ফলে ল্যাপটপ হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই সমস্যা কমাতে আপনি Settings থেকে System মেনুতে Power & battery অপশনে যান। এখানে Power Options বা Power mode এর জন্য ড্রপডাউন মেন্যু পাবেন। যদি না পান তবে Additional Power settings-এ যান। এখান থেকে Best performance অথবা High Performance সিলেক্ট করে দিন।
নোটঃ এই সেটিং চালু করলে ল্যাপটপের চার্জ দ্রুত শেষ হবে এবং ল্যাপটপ স্বাভাবিকের তুলনায় গরম হবে। তাই ল্যাপটপে যথাযথ কুলিং সিস্টেম না থাকলে এটি চালু করবেন না। আরও পড়ুন – ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায়
ওভার হিটিং ইস্যু
ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হলে প্রসেসর স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার প্রসেসিং এবিলিটি কমিয়ে দেয়, যাতে হার্ডওয়্যারের ক্ষতি না হয়। এই প্রক্রিয়াকে থার্মাল থ্রটলিং বলা হয়। এর ফলে কাজের সময় ল্যাপটপ হঠাৎ হ্যাং হয়ে যেতে পারে।
ওভারহিটিং সমস্যার সমাধানে প্রথমেই ল্যাপটপের ভেতরের ধুলা পরিষ্কার করা জরুরি। যদি নিজে করতে না পারেন, তবে অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের সাহায্য নিন। কুলিং ফ্যান ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তাও দেখে নিন এবং প্রয়োজনে ফ্যান পরিবর্তন করুন। এছাড়াও ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হলে কিছু সেটিংস পরিবর্তন করেও সমাধান মিলতে পারে। এ বিষয় বিস্তারিত জানতে ও সমাধান পেতে এখানে— ক্লিক করুন
ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার সংক্রমণ
ল্যাপটপে ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার ঢুকে পড়লে সিস্টেমের স্পিড উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায় এবং কাজের মাঝেই হঠাৎ হ্যাং হওয়া শুরু হয়। এই সমস্যার সমাধানের জন্য প্রথমেই আপনার ল্যাপটপে একটি ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করতে হবে এবং সেটি নিয়মিত আপডেট রাখতে হবে। এক্ষেত্রে Windows-এর বিল্ট-ইন Windows Defender ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়, তবে চাইলে Avast, Bitdefender বা Kaspersky-এর মতো জনপ্রিয় অ্যান্টিভাইরাসও ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল করার পর একটি Full System Scan চালিয়ে সব ড্রাইভ চেক করুন। এতে যেকোনো প্রকার হিডেন ভাইরাস বা ম্যালওয়্যার ডিলিট হয়ে যাবে। যদি আলাদা অ্যান্টিভাইরাস না থাকে, তাহলে Windows Security-তে গিয়ে Virus & Threat Protection থেকে Full Scan চালাতে পারেন।
এছাড়াও, ল্যাপটপে ইনস্টল থাকা অচেনা সফটওয়্যারগুলো Control Panel থেকে আনইনস্টল করে ফেলুন। পাশাপাশি ওয়েব ব্রাউজারের এক্সটেনশনগুলোও চেক করে যেগুলো চেনা নয় বা প্রয়োজন নেই সেগুলো রিমুভ করে ফেলুন।
নোটঃ আপনার সিস্টেমে বেশি র্যাম না থাকলে থার্ড পার্টি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল না করাই ভালো। এক্ষেত্রে Windows Defender ব্যবহার করুন। উল্লেখিত পদ্ধতিতে মাসে অন্তত একবার ফুল স্ক্যান দিন।
উইন্ডোজ আপডেট
Windows Update হলো মাইক্রোসফটের একটি সার্ভিস যা নিয়মিত আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের নতুন আপডেট, সিকিউরিটি প্যাচ, বাগ ফিক্স এবং কখনও কখনও নতুন ফিচার ইনস্টল করে।
অনেক সময় পুরনো বা আপডেট না হওয়া উইন্ডোজের কারণে বিভিন্ন সফটওয়্যার সঠিকভাবে কাজ করে না এবং ড্রাইভার আপডেট পায় না। এর ফলে সিস্টেম হ্যাং বা ক্র্যাশের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
তাই নিয়মিত উইন্ডোজ আপডেট করার জন্য, প্রথমে Settings এ যান। তারপর Update & Security অপশনে ক্লিক করুন। সেখানে Windows Update সেকশনে গিয়ে Check for updates বাটনে ক্লিক করুন। নতুন আপডেট থাকলে ডাউনলোড ও ইনস্টল করুন। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে ল্যাপটপ রিস্টার্ট দিতে হতে পারে।
ল্যাপটপ হ্যাং কমানোর আরো কিছু উপায়
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা উপরের পদ্ধতিগুলো ট্রাই করে ল্যাপটপের হ্যাং ইস্যু সমাধান হতে দেখেছি। তবে ল্যাপটপ হঠাৎ হ্যাং হওয়ার আরেকটা একটা বড় কারণ হলো অতিরিক্ত অ্যাপ বা সার্ভিসগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা। এগুলো সিস্টেমের র্যাম ও প্রসেসরে লোড দিয়ে সিস্টেম হ্যাং করে ফেলতে পারে।
১। স্টার্টআপ প্রোগ্রাম বন্ধ করুনঃ Task Manager খুলুন। (Ctrl + Shift + Esc প্রেস করলেই আসবে) সেখানে Startup ট্যাবে যান। এখানে যে প্রোগ্রামগুলো অপ্রয়োজনীয় বা আপনি ল্যাপটপ চালুর সাথে সাথেই চালাতে চান না, সেগুলো সিলেক্ট করে নিচের Disable-এ ক্লিক করে দিন। এতে ল্যাপটপ চালুর সময় কম লোড পড়বে।
২। ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ বন্ধ করুনঃ Settings – Privacy – Background apps এ গিয়ে যেসব অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে তা দেখতে পাবেন। এখানের অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো Off করে দিন। এতে র্যাম ও ব্যাটারি সেইভ হবে।
৩। সার্ভিস বন্ধ করুনঃ Run কমান্ড (Windows + R) ওপেন করে services.msc লিখে এন্টার দিন। এখানে আপনি অনেক সার্ভিসের তালিকা পাবেন।
এখানে SysMain নামে উইন্ডোজের একটি সার্ভিস পাবেন যা আপনার হার্ড ড্রাইভ বা SSD এর পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য ফাইল ও অ্যাপগুলোর প্রি-লোডিং করে। অর্থাৎ এর মাধ্যমে অ্যাপ চালু করার সময় লোডিং স্পিড ফাস্ট হয়।
তবে, কখনো কখনো এই সার্ভিস বেশি CPU বা ডিস্ক ইউজেজ করতে পারে, যার ফলে ল্যাপটপ হ্যাং বা স্লো হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। তাই এটা একবার বন্ধ (Disable) করে দেখতে পারেন। আরও পড়ুন – চার্জে দিয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে কি ক্ষতি হয়?
HDD এর পরিবর্তনে SSD
পুরনো HDD এর বদলে SSD লাগালে আপনার ল্যাপটপ অনেক ফাস্ট কাজ করবে। HDD-তে রানিং ডিস্ক থাকার কারণে, এর ডাটা রিড রাইট স্পিড অনেক কম। অন্যদিকে SSD ইলেকট্রনিক্যালি ডাটা অ্যাক্সেস করায় HDD-এর তুলনায় স্পিড থাকে অনেক বেশি।
HDD চেঞ্জ করে SSD লাগালে ল্যাপটপ হ্যাং হওয়ার সমস্যা অনেক কমে যাবে। এছাড়াও SSD অনেক কম পাওয়ার কনজিউম করে বলে ল্যপটপ কম গরম হয়। HDD থেকে SSD-তে আপগ্রেড করা হলে আপনি নেজেই একটি বড়সর পারফরম্যান্স বুস্ট দেখতে পাবেন।
কখন একজন টেকনিশিয়ানের কাছে যেতে হবে?
ল্যাপটপের সমস্যাগুলো নিজে চেষ্টা করেও যদি ঠিক না হয়, তখন অবশ্যই একজন পেশাদার টেকনিশিয়ানের সাহায্য নেওয়া উচিত। বিশেষ করে র্যাম, হার্ডড্রাইভ, কুলিং ফ্যান, ইত্যাদি যেকোনো হার্ডওয়্যার পরিবর্তনের মত কাজগুলো নিজে নিজে না করাই ভালো।
এছাড়াও সফটওয়্যার বা ড্রাইভার আপডেটের জটিলতা, BIOS সেটিংস ঠিক করা, বা হঠাৎ ল্যাপটপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত কোনো পেশাদারের কাছে যাওয়া উচিত।
অনভিজ্ঞ কারো হাতে এই কাজগুলো করালে ল্যাপটপে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই যদি ল্যাপটপের সমস্যা না ধরতে পারেন আর আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকে তখন পাকা একজন টেকনিশিয়ানের কাছে যাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।
পুরনো ল্যাপটপের সীমাবদ্ধতা কাটাতে আপগ্রেড করুন
পুরনো ল্যাপটপ হ্যাং হবার মূল কারণ হলো এর হার্ডওয়্যারের সীমাবদ্ধতা। যেমন কম র্যাম, HDD স্টোরেজ, ব্যাকডেটেড জেনারেশনের প্রসেসর ও গ্রাফিক্স চিপসেট। আধুনিক সফটওয়্যার ও অপারেটিং সিস্টেম চালাতে হলে দরকার হাই পারফরম্যান্স প্রসেসিং, ফাস্ট SSD স্টোরেজ এবং বেশি মেমোরির। এই হার্ডওয়্যার গ্যাপ পূরণ না হলে যতই সফটওয়্যার টিউনিং বা সার্ভিসিং করান, পারফরম্যান্সে সীমাবদ্ধতা থাকবেই।
তাই বারবার সার্ভিসিংয়ে টাকা খরচের চেয়ে এখনই সময় একটি স্মার্ট ল্যাপটপে আপগ্রেড করার। Vertech আপনাকে দিচ্ছে সাশ্রয়ী দামে লেটেষ্ট মডেলের ল্যাপটপ। থাকছে অফিসিয়াল ওয়ারেন্টি ও নির্ভরযোগ্য সার্ভিস। আপনার কাজ হোক অফিস, ফ্রিল্যান্সিং বা গেমিং—Vertech-এ পাবেন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পারফেক্ট ল্যাপটপ।
আজই ভিজিট করুন: www.vertech.com.bd
অথবা সরাসরি চলে আসুন—
Outlet-1: Level 5, Block A, Shop 04-05, Bashundhara City Shopping Complex, Dhaka
Outlet-2: Level 5, Shop 538, Multiplan Center, New Elephant Rd, Dhaka 1205
উপসংহার
আমাদের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, একটি ল্যাপটপের হ্যাং সমস্যা প্রায়শই কম র্যাম, লো স্টোরেজ, ভাইরাস, ওভারহিটিং কিংবা সঠিক সেটিংস না থাকার কারনেই হয়ে থাকে। এগুলো সহজেই কিছু টেকনিক্যাল স্টেপ অনুসরণ করে সমাধান করা সম্ভব। তবে পুরনো হার্ডওয়্যার থাকা ল্যাপটপে আপডেটেড সফটওয়্যার চালাতে সমস্যা হওয়াই স্বাভাবিক। তাই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্মার্ট, হাই পারফরম্যান্স ল্যাপটপে আপগ্রেড করাই দীর্ঘমেয়াদে আপনার কাজের গতি ও দক্ষতা বজায় রাখার সেরা উপায়।
FAQs (সাধারণ প্রশ্নত্তর)
নিচের প্রশ্নগুলো আমরা প্রায়শই শুনে থাকি।
ল্যাপটপ কেন হঠাৎ হ্যাং করে?
সাধারণত কম র্যাম, লোয়ার স্টোরেজ, ভাইরাস, আপডেট না হওয়া উইন্ডোজ, ওভারহিটিং, অথবা অতিরিক্ত ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ চালু থাকলে ল্যাপটপ হ্যাং করে।
Virtual RAM কী?
Virtual RAM হলো হার্ডড্রাইভের একটি অংশকে সাময়িকভাবে র্যামের মতো ব্যবহার করা। এতে প্রসেসর লোড কমে এবং হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
কেন SSD ব্যবহার করলে ল্যাপটপ দ্রুত হয়?
SSD ইলেকট্রনিক্যালি ডাটা অ্যাক্সেস করে, তাই ডাটা রিড ও রাইটের স্পিড HDD থেকে অনেক ফাস্ট। এর ফলে ল্যাপটপ ফাস্ট বুট হয় এবং সকল প্রোগ্রামও ফাস্ট প্রসেস করে।
ল্যাপটপের ওভারহিটিং এড়াতে কি করা উচিত?
ল্যাপটপের ভেতরের ধুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন। পর্যাপ্ত কুলিং সিস্টেম নিশ্চিত করতে কুলিং ফ্যান ঠিক আছে কিনা চেক করুন।
নিয়মিত Windows Update করাটা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
Windows Update দিলে সিকিউরিটি প্যাচ, বাগ ফিক্স ও ড্রাইভার আপডেটসহ নতুন ফিচার পাওয়া যায়। এগুলো আপনার সিস্টেমকে সিকিউর এবং স্টেবল রাখে, যার ফলে হ্যাং বা ক্র্যাশের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।

Borhan Uddin Alif is a writer with years of experience, focusing on technology, marketing, and storytelling, and enjoys exploring various niches and topics.