১ লক্ষ টাকায় ৫টি সেরা ল্যাপটপ
আপনি যদি ১ লক্ষ টাকার বাজেটের মধ্যে একটি ফাস্ট, স্টাইলিশ এবং রিলায়েবল ল্যাপটপ খুঁজে থাকেন, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আমরা বেছে নিয়েছি ৫টি ল্যাপটপ যা স্টুডেন্ট, ফ্রিল্যান্সার বা অফিস ইউজারের জন্য পারফেক্ট। এই ল্যাপটপগুলোতে পাবেন ভালো পারফরম্যান্স, ফাস্ট SSD স্টোরেজ, এবং চোখের জন্য বেটার ডিসপ্লে। পাশাপাশি আমাদের বাছাই করা ল্যাপটপগুলো দেখতেও স্টাইলিশ এবং বহন করতেও সুবিধাজনক। তাহলে চলুন দেখা যাক, কোন ল্যাপটপটি হবে আপনার ১ লক্ষ টাকার বাজেটে সবচেয়ে উপযোগী।
১। MacBook Air M2 (13.6-inch, 8/256GB)
লিস্টের শুরুটা করছি Apple দিয়ে, কারণ আপনি যদি ১ লক্ষ টাকার বাজেটে একটি প্রিমিয়াম ও পারফরম্যান্স-অরিয়েন্টেড ল্যাপটপ খুঁজে থাকেন, তাহলে Apple-এর MacBook Air M2 হতে পারে আপনার জন্য সেরা চয়েস। Apple-এর এই মডেলটি ডিজাইন, পারফরম্যান্স, এবং ব্যাটারি ব্যাকআপের দিক থেকে নিঃসন্দেহে বাজারের সেরা অপশনগুলোর একটি।
এর Apple M2 চিপ-এ রয়েছে ৮-কোর CPU (৪টি পারফরম্যান্স কোর ও ৪টি ইফিসিয়েন্সি কোর) এবং ৮-কোর GPU, যা দিয়ে আপনি মাল্টিটাস্কিং, ভিডিও এডিটিং, ডিজাইনিং সব কিছুই দারুণভাবে করতে পারবেন। M2 চিপের পারফরম্যান্স আগের M1-এর চেয়ে প্রায় ১৮% ফাস্ট, ফলে কাজের সময় ল্যাগ বা ডিলে প্রায় নেই বললেই চলে।
ডিসপ্লের কথা বললে, এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৩.৬-ইঞ্চি Liquid Retina Display, যার 1664×2560 রেজোলিউশন এবং True Tone Technology কালার গ্রেডে নিয়ে এসেছে একদম প্রিমিয়াম ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স। Wide Color (P3) এবং ১ বিলিয়ন কালার সাপোর্ট থাকায় গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা ভিডিও এডিটরদের জন্য এটি একদম পারফেক্ট।
র্যাম হিসেবে আছে ৮GB Unified Memory আর স্টোরেজ হিসেবে রয়েছে ২৫৬GB SSD, যা দ্রুত বুটিং ও ফাইল ট্রান্সফারের জন্য যথেষ্ট।
ডিজাইন সেকশনে Apple বরাবরের মতোই স্লিম ও লাইটওয়েট স্ট্রাকচার বজায় রেখেছে। ডিভাইসটির ওজন মাত্র ১.২৪ কেজি এবং থিকনেস ১.১৩ সেমি, ফলে যেকোনো ব্যাগে সহজেই বহন করা যায়।
ব্যাটারি সেকশনে রয়েছে 52.6Wh লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি, যা প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত ওয়্যারলেস ওয়েব ব্রাউজিং দিতে সক্ষম। অর্থাৎ চার্জ নিয়ে চিন্তা ছাড়াই সারাদিন কাজ করতে পারবেন।
পোর্ট হিসেবে আছে ২টিThunderbolt / USB 4 (Up to 40Gb/s) এবং 3.5mm হেডফোন জ্যাক। ওয়্যারলেস কানেক্টিভিটির জন্য থাকছে Wi-Fi 6 ও Bluetooth 5.3, যা দিয়ে স্পিড ও স্ট্যাবিলিটি দুটোই পাবেন।
অডিও ও ক্যামেরার দিক থেকেও Apple এখানে কমপ্রোমাইজ করেনি। 1080p FaceTime HD ক্যামেরা, স্টেরিও স্পিকার, এবং Wide Stereo Sound – সব মিলিয়ে মিটিং, ভিডিও কল বা কনটেন্ট কনজাম্পশনসহ সব ক্ষেত্রেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স পাবেন।
এছাড়াও আরো ভালো ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের জন্য রয়েছে Backlit Magic Keyboard এবং Force Touch trackpad।
সব মিলিয়ে, আপনি যদি অফিসিয়াল কাজ, প্রোগ্রামিং, ভিডিও এডিটিং বা গ্রাফিক্স ডিজাইনের মতো কাজ করেন, তবে MacBook Air M2 হতে পারে সবচেয়ে ব্যালেন্সড ও লং-লাস্টিং ইনভেস্টমেন্ট।
Apple MacBook Air M2 (13.6-inch, 16/256GB)
- Processor (CPU) – Apple M2 (8-Core CPU + 8-Core GPU)
- RAM – 16GB Unified Memory
- Storage – 256GB SSD
- Display – 13.6-inch Liquid Retina (2560 x 1664)
- Battery – 52.6Wh Lithium-Polymer
- Weight – 1.24 Kg
২। ASUS Zenbook 14 Q415MA (Intel Core Ultra 5, 8/512GB, 14” FHD OLED)
যারা একটু স্টাইলিশ, লাইটওয়েট ও পাওয়ারফুল ল্যাপটপ খুঁজছেন, তাদের জন্য ASUS Zenbook 14 Q415MA এক কথায় পারফেক্ট চয়েস। Zenbook সিরিজের এই মডেলে ব্যবহার করা Intel Core Ultra 5 125H Processor এর কারণে মাল্টিটাস্কিং ও প্রোডাক্টিভ কাজের ক্ষেত্রে পারফরম্যান্সে এসেছে বিশাল উন্নতি।
এই ল্যাপটপে রয়েছে ১৪-কোর CPU ও ১৮ থ্রেড, যার ক্লক স্পিড সর্বোচ্চ ৪.৫GHz পর্যন্ত যেতে পারে। মানে আপনি একসাথে একাধিক ট্যাব, অ্যাপ, বা হাই-রেজ ভিডিও রান করলেও কোনো স্লোডাউন অনুভব করবেন না।
ডিসপ্লে সেকশনটি নিঃসন্দেহে এর হাইলাইট। ১৪-ইঞ্চির FHD OLED Display (1920×1200) রেজোলিউশন, 500 nits brightness, এবং 100% DCI-P3 color gamut-সহ সব মিলে কালারের ডেপথ ও ভিজ্যুয়াল এক্সপেরিয়েন্স একদম সিনেমাটিক। সাথে আছে Touchscreen ও Stylus Support, যা ডিজাইন, প্রেজেন্টেশন বা নোট নেওয়ার কাজে বাড়তি সুবিধা দেয়।
৮GB LPDDR5 RAM ও 512GB NVMe PCIe 4.0 SSD স্টোরেজ এর পারফরম্যান্সকে করে তুলেছে আরও ফাস্ট ও রেসপন্সিভ। অফিসের কাজ, ডিজাইন সফটওয়্যার, বা স্ট্রিমিংসহ সব কিছুই চালানো যাবে স্মুথভাবে।
ডিজাইন সেকশনে ASUS সবসময়ই একটা ক্লাস মেইনটেইন করে। 1.28 কেজি ওজন এবং 1.49 সেমি স্লিম বডি হওয়ায় বেশ ভালো পোর্টাবিলিটি পাবেন। তাছাড়া এর পুরো অ্যালুমিনিয়াম ফিনিশড বডি দেখে প্রিমিয়াম ফিলও আসবে।
ব্যাটারি হিসেবে আছে 75Wh Li-ion (4-cell), যা সারাদিনের কাজের জন্য যথেষ্ট। ASUS দাবি করছে, এটি দিয়ে আপনি প্রায় ১২-১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ পাবেন। এছাড়া ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট থাকায় দ্রুত রিচার্জ করার সুবিধা পাবেন।
ল্যাপটপটির পোর্ট সেকশনে রয়েছে Thunderbolt 4, USB 3.2 Gen 1 Type-A, HDMI 2.1, ও 3.5mm Audio Jack। বিল্ট ইন এসব পোর্টগুলোর ফলে প্রজেক্টর, মনিটর বা এক্সটারনাল ডিভাইস কানেক্ট করা একদম সহজ।
অডিও সেকশনে ASUS ব্যবহার করেছে Harman/Kardon Speaker System, যা প্লেব্যাকে রিচ ও ক্লিয়ার সাউন্ড দিবে।
সব মিলিয়ে, যারা পারফরম্যান্স, প্রিমিয়াম ডিজাইন, আর ব্যাটারি ব্যাকআপের মধ্যে ব্যালেন্স খুঁজছেন তাদের জন্য ASUS Zenbook 14 Q415MA হতে পারে সেরা অলরাউন্ড অপশন, বিশেষ করে অফিস ও স্টুডেন্ট ইউজের জন্য এটা দেখতে পারেন।
ASUS Zenbook 14 Q415MA (Intel Core Ultra 5-125H)
- Processor (CPU) – Intel Core Ultra 5-125H | Up to 4.5GHz | 14 Cores | 18 Threads
- Graphics (GPU) – Intel Integrated Graphics
- RAM – 8GB LPDDR5
- Storage – 512GB NVMe PCIe 4.0 SSD
- Display – 14-inch FHD OLED (1920×1200) | Touch | 500 nits
- Battery – 75Wh 4-cell Li-ion
- Weight – 1.28 Kg
৩। HP ENVY x360 15-EY1077WM
১ লক্ষ টাকার মধ্যে যদি এমন একটি ল্যাপটপ খুঁজে থাকেন যা কাজের পাশাপাশি স্টাইলেও প্রিমিয়াম লুক দিবে, তাহলে HP ENVY x360 15-EY1077WM হতে পারে আপনার জন্য একদম পারফেক্ট চয়েস। এটা এমন একটি কনভার্টিবল ল্যাপটপ যা ট্যাব ও ল্যাপটপ – দুইভাবেই ব্যবহার করা যায়।
এই ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে AMD Ryzen 5 7530U প্রসেসর, যেখানে ৬টি কোর ও ১২টি থ্রেড রয়েছে। এই প্রসেসরটি ২GHz বেস ফ্রিকোয়েন্সি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 4.5GHz পর্যন্ত স্পিড দিতে পারে। মানে একসাথে মাল্টিপল ট্যাব ওপেন রাখা, ব্রাউজিং, অফিসিয়াল কাজ কিংবা লাইট ভিডিও এডিটিং – সব কিছুই স্মুথ পারফরম্যান্সে করা সম্ভব।
গ্রাফিক্স হিসেবে থাকছে AMD Radeon Graphics, যা সাধারণ ভিডিও এডিটিং বা লাইট গেমিংয়ের জন্য যথেষ্ট। ল্যাপটপটির ডিসপ্লেটিও বেশ আকর্ষণীয়। এর 15.6 ইঞ্চি FHD IPS টাচস্ক্রিন প্যানেলটি 2-in-1 কনভার্টিবল ডিজাইনের কারণে আপনি ট্যাব মোডেও ব্যবহার করতে পারবেন।
মেমোরি হিসেবে দেওয়া হয়েছে 12GB DDR4 RAM এবং স্টোরেজে 256GB PCIe NVMe M.2 SSD। ফলে সফটওয়্যার লোডিং, ডেটা ট্রান্সফার এবং সিস্টেম বুট টাইমসহ সবকিছুতেই ফাস্ট এক্সপেরিয়েন্স পাবেন।
এই ল্যাপটপের আরেকটি বড় সুবিধা হলো এর HP Wide Vision 5MP IR Camera, যেটিতে রয়েছে Temporal Noise Reduction। ফলে ভিডিও কলে বা অনলাইন মিটিংয়ে ভালো এক্সপেরিয়েন্স পাবেন। সঙ্গে অডিও এক্সপেরিয়েন্সের জন্য আছে Bang & Olufsen Audio সাউন্ড সিস্টেম।
ডিজাইনের দিক থেকেও এটি একটি প্রিমিয়াম ল্যাপটপ। এর ৪ সেল ৫৫Wh ব্যাটারি স্বাভাবিক ব্যবহারে সহজেই ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে পারে। Wi-Fi 6E এবং Bluetooth 5.3 থাকায় কানেক্টিভিটিও একদম আপ-টু-ডেট।
ল্যাপটপটির ওজন প্রায় ১.৭ কেজির মতো, যা কনভার্টিবল ডিজাইন বিবেচনায় বেশ হালকা। যারা রেগুলার কাজের পাশাপাশি প্রেজেন্টেশন বা ডিজাইন রিলেটেড কাজ করেন, তাদের জন্য এটি একটি স্মার্ট, ফ্লেক্সিবল ও পারফরম্যান্স-ফ্রেন্ডলি অপশন।
HP ENVY x360 15-ey1077wm (AMD Ryzen 5 7530U)
- Processor (CPU) – AMD Ryzen 5 7530U (Up to 4.5 GHz)
- Graphics (GPU) – AMD Radeon Graphics
- RAM – 12GB DDR4
- Storage – 256GB PCIe NVMe M.2 SSD
- Display – 15.6-inch 2-in-1 FHD IPS Touchscreen
৪। Samsung Galaxy Book Pro Intel Core i5 (15.6″)
অফিস, অনলাইন ক্লাস বা রেগুলার মাল্টিটাস্কিং কাজের জন্য যারা ল্যাপটপ কিনতে চান তারা একবার Samsung এর Galaxy Book Pro ল্যাপটপটি দেখতে পারেন। এটি এমন একটি ল্যাপটপ, যেখানে স্টাইল, পারফরম্যান্স আর পোর্টেবিলিটি একসাথে মিশে গেছে।
ল্যাপটপটিতে আছে Intel Core i5-1135G7 প্রসেসর, যার বেস ফ্রিকোয়েন্সি ২.৪GHz এবং সর্বোচ্চ স্পিড 4.2GHz। এই প্রসেসরটি Intel-এর 11th জেনারেশনের হওয়ায় ডে টু ডে অফিস সফটওয়্যার, ব্রাউজিং, এবং ভিডিও স্ট্রিমিং চলবে বেশ স্মুথভাবে। গ্রাফিক্সের জন্য থাকছে Intel Iris Xe Graphics, যা লাইট গ্রাফিক্স কাজ বা কেজুয়াল গেমিংয়ের জন্য যথেষ্ট সক্ষম।
এর ডিসপ্লে সেকশনে রয়েছে 15.6 ইঞ্চির FHD AMOLED Display, যা এই প্রাইস রেঞ্জে এক অন্যতম হাইলাইটেড ফিচার। স্ক্রিনের কালার অ্যাকুরেসি, ডিপ ব্ল্যাক এবং ব্রাইটনেস – এক কথায় অসাধারণ। কনটেন্ট ডিজাইনের কাজের জন্য এটি সত্যিই উপযোগী।
মেমোরি হিসেবে আছে 8GB LPDDR4X RAM এবং স্টোরেজে 256GB NVMe SSD। আর ব্যাটারি হিসেবে দেওয়া হয়েছে 68Wh ইউনিট, যা সহজেই পুরো দিনের কাজের সাপোর্ট দিতে সক্ষম।
ডিজাইন এর দিক থেকে Galaxy Book Pro খুবই লাইটওয়েট। মাত্র 1.05 কেজি ওজনের হওয়ায় যেকোনো জায়গায় সহজেই বহন করা যায়। এর Backlit Keyboard, Fingerprint Sensor এবং Ambient Light Sensor কাজের সময় বাড়তি কিছু সুবিধা দিবে।
ল্যাপটপটিতে Wi-Fi 6 এবং Bluetooth 5.1 কানেক্টিভিটি থাকায় ইন্টারনেট বা অন্যান্য ডিভাইসের সাথে কানেকশনও যথেষ্ট ফাস্ট ও স্টেবল হবে। পাশাপাশি, Dolby Atmos ও AKG টিউনড স্পিকার থাকায় সাউন্ড এক্সপেরিয়েন্সও প্রিমিয়াম লেভেলের।
১ লক্ষ টাকার নিচে যারা একটা স্টাইলিশ, লাইটওয়েট, আর পারফরম্যান্স-ব্যালেন্সড ল্যাপটপ চান তাদের জন্য Samsung Galaxy Book Pro নিঃসন্দেহে সেরা চয়েসগুলোর একটি।
Samsung Galaxy Book Pro (Intel Core i5-1135G7)
- Processor (CPU) – Intel Core i5-1135G7 (Up to 4.2 GHz)
- Graphics (GPU) – Intel Iris Xe Graphics
- RAM – 8GB LPDDR4X
- Storage – 256GB NVMe SSD
- Display – 15.6-inch FHD AMOLED Display
৫। Microsoft Surface Pro 8 (8PN-00001) 11th Gen Core i5 (8GB/128GB) – Platinum
যারা একসাথে ল্যাপটপ আর ট্যাবলেটের এক্সপেরিয়েন্স নিতে চান, তাদের জন্য Microsoft Surface Pro 8 হতে পারে সেরা কিছু। এই ২-ইন-১ ডিভাইসটি শুধু পারফরম্যান্সেই নয়, ডিজাইন, ডিসপ্লে আর ফ্লেক্সিবিলিটিতেও অনন্য।
Surface Pro 8 এ রয়েছে 11th Gen Intel Core i5-1135G7 Processor, যা সর্বোচ্চ 4.2GHz পর্যন্ত স্পিড দিতে সক্ষম। এই শক্তিশালী প্রসেসরের সাথে Intel Iris Xe Graphics আপনাকে দেবে স্মুথ গ্রাফিক্স পারফরম্যান্স। অফিসের কাজ থেকে শুরু করে লাইট ফটো এডিটিং কিংবা ভিডিও এডিটিং হবে স্মুথ।
এর ডিসপ্লেতে আছে 13-inch PixelSense Flow Display, যার রেজোলিউশন 2880 x 1920 (267 PPI) এবং রিফ্রেশ রেট সর্বোচ্চ 120Hz। এটি টাচ ও স্টাইলাস (Surface Pen) সাপোর্ট করে, ফলে নোট নেওয়া, স্কেচ করা বা ডিজাইনিংয়ের কাজ হবে আরও ইন্টারঅ্যাকটিভ।
পাশাপাশি এর কালার একুরেসি (sRGB & Enhanced Mode), Dolby Vision IQ, আর 1300:1 contrast ratio মিলে স্ক্রিনের ভিজ্যুয়াল কোয়ালিটি হবে চোখ ধাঁধানো।
Surface Pro 8-এ রয়েছে 8GB LPDDR4x RAM এবং 128GB SSD Storage, যা ডে টু ডে কাজের জন্য যথেষ্ট । আর ল্যাপটপটির ওজন মাত্র 891 গ্রাম, মানে সহজেই ব্যাগে ফেলে নিয়ে যাওয়া যায় অফিস, ক্লাস বা ট্রাভেলে।
ক্যামেরা সেকশনে আছে 5MP ফ্রন্ট ক্যামেরা (1080p FHD) এবং 10MP রিয়ার ক্যামেরা (4K ভিডিও সাপোর্ট) যা ভিডিও কনফারেন্স বা কনটেন্ট রেকর্ডিংয়ের জন্য যথেষ্ট। এছাড়া Dual Studio Mics এবং Dolby Audioসিস্টেমের জন্য অডিও এক্সপেরিয়েন্সও পাবেন একেবারে প্রিমিয়াম লেভেলের।
Connectivity তে রয়েছে Wi-Fi 6E, Bluetooth 5.1, এবং Thunderbolt 4 পোর্ট। আবার সিকিউরিটির দিক থেকেও Surface Pro 8 বেশ সিকিউরড। এতে আছে Windows Hello Face Recognition, Firmware TPM chip, এবং BitLocker Support, যা ডেটা প্রোটেকশনে সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা দিবে।
যারা একটি প্রফেশনাল, স্টাইলিশ এবং হাই-রেসপন্সিভ টাচ ডিভাইস চান তাদের জন্য Surface Pro 8 নিঃসন্দেহে পারফেক্ট চয়েস।
Microsoft Surface Pro 8 (Intel Core i5-1135G7)
- Processor (CPU) – Intel Core i5-1135G7 (Up to 4.2 GHz)
- Graphics (GPU) – Intel Iris Xe Graphics
- RAM – 8GB LPDDR4x
- Storage – 128GB SSD (Removable)
- Display – 13″ PixelSense Flow (2880×1920) | 120Hz
পরিশেষ
সবশেষে একটা কথাই বলা যায়, ভালো ল্যাপটপ কিনতে হলে শুধু স্পেসিফিকেশন না বরং আপনার কাজের ধরনও বেছে নেওয়া উচিত। তাই যে ল্যাপটপই বেছে নিন, সেটা যেন আপনার প্রয়োজনের সঙ্গে যায়। আর আপনি যদি বেস্ট প্রাইসে অরিজিনাল ওয়ারেন্টিসহ ল্যাপটপ নিতে চান, তাহলে ভিজিট করুন বাংলাদেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ল্যাপটপ স্টোর Vertech। এখানে পাবেন শুধুমাত্র অরিজিনাল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ, সেরা ডিল এবং ট্রাস্টেড সার্ভিস। তাই আজই ভিজিট করুন Vertech.com.bd এবং বেছে নিন আপনার প্রয়োজনের পারফেক্ট ল্যাপটপটি!

Borhan Uddin Alif is a writer with years of experience, focusing on technology, marketing, and storytelling, and enjoys exploring various niches and topics.