ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায়
ধরুন আপনি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করছেন, আর ঠিক তখনই ল্যাপটপ হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেল! ল্যাপটপের চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছে, আর পাওয়ার আউটলেটও হাতের কাছে নেই! এমন পরিস্থিতিতে আমরা অনেকেই পড়েছি, তাই না?
ল্যাপটপের ব্যাটারি ঠিকঠাক না থাকলে কমে যেতে পারে আপনার ল্যাপটপের আয়ু। কিন্তু যদি বলি, কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললেই আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে টিকবে? হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন!
এই ব্লগে আমরা জানবো ল্যাপটপের ব্যাটারি নষ্ট হওয়ার কারণ এবং ব্যাটারি ভালো রাখার সহজ কিন্তু কার্যকর কৌশল। আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি বছরের পর বছর ভালো রাখতে চাইলে, এই আর্টিকেলটি একদম শেষ পর্যন্ত পড়ুন!
ল্যাপটপের ব্যাটারি নষ্ট হওয়ার প্রধান কারণ

অনেকেই কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে নিজের অজান্তেই ব্যাটারির আয়ু কমিয়ে ফেলেন। ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে জানার আগে ব্যাটারি নষ্ট হবার কারনগুলো জানা উচিত। নিচে ল্যাপটপের ব্যাটারি নষ্ট হওয়ার প্রধান কারণগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
ওভারচার্জিং বা দীর্ঘ সময় চার্জে রেখে দেওয়াঃ অনেকেই মনে করেন, ল্যাপটপ সারাক্ষণ চার্জে লাগিয়ে রাখলে ব্যাটারির কোনো ক্ষতি হয় না। কিন্তু বাস্তবে এটি ব্যাটারির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। ল্যাপটপ সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাওয়ার পরও যদি দীর্ঘ সময় চার্জারে সংযুক্ত থাকে, তাহলে ব্যাটারির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
অতিরিক্ত তাপমাত্রার প্রভাবঃ অতিরিক্ত গরম পরিবেশে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ব্যাটারি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক সময় বিছানার উপর বা সফট সারফেসে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচল করতে পারে না, ফলে ল্যাপটপ বেশি গরম হয়ে যায়।
আনঅফিসিয়াল চার্জারঃ অনেকেই দ্রুত চার্জের জন্য ভিন্ন ব্র্যান্ডের বা কম দামের সাধারণ চার্জার ব্যবহার করেন। এগুলো ব্যাটারির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা নষ্ট করতে পারে।
ভোল্টেজের সমস্যাঃ চার্জিং এর সময় বিদ্যুৎ সরবরাহে হঠাৎ পরিবর্তন, যেমন লো ভোল্টেজ বা অতিরিক্ত ভোল্টেজ হলে ব্যাটারির সেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কম চার্জে একটানা দীর্ঘ সময় ল্যাপটপ ব্যবহার করাঃ একটানা দীর্ঘ সময় ধরে ল্যাপটপ ব্যবহার করা ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অনেক সময় ব্যাটারির চার্জ ১০ পার্সেন্টের নিচে নেমে আসার পরও ল্যাপটপ বন্ধ না করে চালিয়ে যাওয়া হয়, যা ব্যাটারির উপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে। আবার কিছু ইউজার কাজের চাপে ল্যাপটপ কখনোই বন্ধ করেন না, ফলে ব্যাটারি ক্রমাগত তার ক্ষমতা হারায়।
সফটওয়্যার ও ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহারঃ অনেক সময় ল্যাপটপে এমন কিছু সফটওয়্যার চালু থাকে, যা ব্যবহারকারী বুঝতেই পারেন না। বিশেষ করে ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ করে ফেলে।
সঠিকভাবে ব্যাটারি সংরক্ষণ না করাঃ কেউ কেউ ল্যাপটপ সম্পূর্ণ বন্ধ করে মাসের পর মাস রেখে দেন আর এইসময় যদি চার্জ কম থাকে তবে ব্যাটারির ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পরবর্তীতে এটি নতুন করে চার্জ নিতেও সমস্যা করতে পারে।
ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখার উপায়

ল্যাপটপের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলা উচিত।সঠিক চার্জিং পদ্ধতি, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, পাওয়ার সেটিংস অপটিমাইজেশন, ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি ব্যাটারির আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারেন। নিচে ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখার কিছু কার্যকর উপায় আলোচনা করা হলো।
১। সঠিকভাবে চার্জিং রেঞ্জ বজায় রাখুন
ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো রাখতে সঠিক চার্জিং রেঞ্জ বজায় রাখা উচিত। ব্যাটারিকে ২০% এর নিচে নামতে না দিয়ে ৮০ পর্যন্ত চার্জ রাখা ভালো। একেবারে ০% পর্যন্ত চার্জ শেষ করে আবার ১০০% পর্যন্ত চার্জ দেওয়া ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর।
২। সঠিক চার্জার ব্যবহার করুন
অনেকেই ল্যাপটপের আসল চার্জার নষ্ট হয়ে গেলে অন্য ব্র্যান্ডের সস্তা চার্জার ব্যবহার করেন। চার্জ দেওয়ার সময় অবশ্যই ল্যাপটপের জন্য নির্ধারিত চার্জার ব্যবহার করতে হবে। কম দামি বা নন-ব্র্যান্ডেড চার্জার ব্যাটারির সেল নষ্ট করতে পারে। তাই সবসময় ল্যাপটপের আসল চার্জার ব্যবহার করা উচিত।
৩। অতিরিক্ত তাপমাত্রা এড়ানো
ল্যাপটপের ব্যাটারি তাপমাত্রার প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। তাই ল্যাপটপ এমন জায়গায় ব্যবহার করা উচিত, যেখানে বাতাস চলাচল স্বাভাবিক থাকে। বিছানা বা সফট সারফেসে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ভেন্টিলেশন বন্ধ হয়ে অতিরিক্ত তাপমাত্রা সৃষ্টি করে। এই জন্য প্রয়োজনে ল্যাপটপ কুলিং প্যাড ব্যবহার করে অতিরিক্ত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
৪। পাওয়ার সেটিংস অপটিমাইজ করা
ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে পাওয়ার সেভিং মোড চালু রাখা ভালো। Windows ব্যবহারকারীরা Control Panel > Power Options থেকে “Battery Saver” বা “Power Saver” মোড চালু করতে পারেন। macOS ব্যবহারকারীরা System Settings > Battery থেকে ব্যাটারি অপটিমাইজেশন সেটিংস কাস্টমাইজ করতে পারেন।
৫। সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার ম্যানেজমেন্ট
ল্যাপটপের সফটওয়্যার আপডেট করা ব্যাটারির জন্য ভালো। অনেক সময় পুরানো সফটওয়্যার ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশি পাওয়ার কনজিউম করে। তাই নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করা উচিত।
৬। ব্যাটারি হেলথ চেক করা
নিয়মিত ব্যাটারি হেলথ চেক করুন। এর জন্য Windows ব্যবহারকারীরা Command Prompt (cmd) > powercfg /batteryreport কমান্ড ব্যবহার করতে পারেন। macOS ব্যবহারকারীরা System Settings > Battery > Battery Health থেকে ব্যাটারির হেলথ দেখতে পারেন।
৭। সঠিকভাবে ব্যাটারি সংরক্ষণ করা
যদি ল্যাপটপ দীর্ঘদিন ব্যবহার না করা হয়, তাহলে ব্যাটারিতে কিছু চার্জ রেখে দেয়া উচিত। একেবারে ০% চার্জে ল্যাপটপ ফেলে রাখা হলে ব্যাটারির সেল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ল্যাপটপ ব্যবহার না করলে ৪০-৫০% চার্জ রেখে সংরক্ষণ করা উচিত। এর পাশাপাশি ব্যাটারির সেল সক্রিয় রাখতে, প্রতি মাসে অন্তত একবার ব্যাটারি চার্জ দিন।
৮। সরাসরি পাওয়ার এডাপটারে ল্যাপটপ ব্যবহার
কিছু ল্যাপটপ Smart Charging ফিচার ব্যবহার করে, যা চার্জ ১০০% পর্যন্ত হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাটারির উপর প্রেসার কমিয়ে দেয়। তবে যেসব ল্যাপটপে এই ফিচার নেই, সেগুলোর ক্ষেত্রে সরাসরি অ্যাডাপ্টারে ব্যবহার করলে ব্যাটারির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
৯। ব্যাটারির জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করুন
ব্যাটারি দীর্ঘসময় ভালো রাখতে হলে ল্যাপটপকে ধুলাবালি এবং আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখতে হবে। ধুলাবালি ল্যাপটপের কুলিং সিস্টেম বাধাগ্রস্ত করে, যার ফলে ল্যাপটপ বেশি গরম হয় এবং ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে।
১০। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন করুন
ব্যাটারির সঠিক পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে মাঝে মাঝে ব্যাটারি ক্যালিব্রেশন করা দরকার। এটি মূলত ব্যাটারির চার্জিং এবং ডিসচার্জিং পারফরম্যান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ক্যালিব্রেশনের জন্য প্রথমে ল্যাপটপ ১০০% চার্জ দিয়ে তারপর সম্পূর্ণ ডিসচার্জ করুন এবং পুনরায় সম্পূর্ণ চার্জ দিন।
১১। ল্যাপটপ স্লিপ মোডের পরিবর্তে শাটডাউন করুন
অনেকেই কাজ শেষ করার পর ল্যাপটপ সরাসরি শাটডাউন না করে Sleep Mode বা Hibernate Mode ব্যবহার করেন। যদিও এটি ব্যবহারে কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। তবে দীর্ঘমেয়াদে এর ব্যবহারে ব্যাটারির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পরে।
১২। ব্যাটারি ম্যানেজমেন্টের জন্য বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করুন
অনেক ল্যাপটপ ব্র্যান্ড ব্যাটারির হেলথ ও চার্জিং ম্যানেজমেন্ট মনিটরিং এর জন্য বিশেষ সফটওয়্যার দিয়ে থাকে। যেমন, Lenovo Vantage, HP Support Assistant, Dell Power Manager ইত্যাদি। এসব সফটওয়্যার ব্যবহার করলে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
১৩। ভারী সফটওয়্যার চালানোর সময় চার্জার সংযুক্ত রাখুন
যদি আপনি ভিডিও এডিটিং, গেমিং বা অন্য কোনো হাই-পারফরম্যান্স সফটওয়্যার ব্যবহার করেন, তাহলে ল্যাপটপের ব্যাটারির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। তাই ভারী কাজের সময় চার্জার সংযুক্ত রাখার চেষ্টা করুন, যাতে ব্যাটারি অতিরিক্ত লোডে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
১৪। ব্যাটারি বেশি লোড নিতে পারছে কি না বুঝতে শেখুন
কখনো কখনো ব্যাটারির ক্ষমতা কমে গেলে ল্যাপটপ ধীরগতির হয়ে যায় এবং চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যায়। এটি বোঝার জন্য Task Manager (Windows) বা Activity Monitor (macOS) খুলে দেখুন কোন কোন সফটওয়্যার বেশি পাওয়ার ব্যবহার করছে। যদি দেখেবন অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ বা প্রসেস বেশি চার্জ নিচ্ছে, তাহলে সেগুলো বন্ধ বা আনইনস্টল করুন।
১৫। ব্যাটারি ও চার্জার পরিচ্ছন্ন রাখুন
চার্জিং পোর্ট এবং ব্যাটারির সংযোগস্থল ধুলাবালিতে আটকে গেলে চার্জিং কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। তাই নিয়মিত চার্জার পোর্ট, ব্যাটারির সংযোগস্থান এবং চার্জারের কেবল পরিষ্কার করুন। এভাবে ধুলো ও ময়লা পরিষ্কার রাখলে চার্জিং ইফিশিয়েন্সি ভালো হবে এবং ব্যাটারি সঠিকভাবে চার্জ হবে।
কখন ল্যাপটপের ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হবে

ল্যাপটপের ব্যাটারি দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে কর্মক্ষমতা হারাতে শুরু করে। সাধারণত, একটি লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির গড় আয়ু থাকে ২-৪ বছর বা প্রায় ৩০০-৫০০ চার্জ সাইকেল। তবে ল্যাপটপ ব্যবহারের ধরন ও রক্ষণাবেক্ষণের ওপর নির্ভর করে এর স্থায়িত্ব কম-বেশি হতে পারে। কিন্তু কখন বুঝবেন যে ব্যাটারি পরিবর্তন করার সময় হয়েছে? আসুন জেনে নেই।
- ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে গেলে
- ল্যাপটপ হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে
- ব্যাটারি ফুলে বা বিকৃত হয়ে গেলে
- ব্যাটারি চার্জ নিতে চায় না বা ধীরে চার্জ হলে
- “Plugged in, Not Charging” সমস্যা দেখা দিলে
- ল্যাপটপ শুধুমাত্র চার্জারে সংযুক্ত রাখলেই চালু থাকে
- ব্যাটারির স্বাস্থ্য (Battery Health) ৫০% এর নিচে নেমে গেলেত
- ল্যাপটপ অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে
- ব্যাটারি ওএস দ্বারা ডিটেক্ট না হলে
- ল্যাপটপের পারফরম্যান্স কমে গেলে
উক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে ব্যাটারি পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। যদি আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে ব্যাটারি কিনতে গেলে সতর্ক থাকুন। অনেক শপে কমদামে নকল ব্যাটারি বিক্রি হয়, যা ল্যাপটপের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে। তাই সবসময় অফিসিয়াল রিটেইলার থেকে ব্যাটারি কেনার চেষ্টা করুন এবং ব্যাটারির Capacity, Voltage, এবং Compatibility যাচাই করে নিন।
একনজরে ল্যাপটপের ব্যাটারি সংরক্ষণে টিপস

- ব্যাটারি চার্জ ২০% থেকে ৮০% এর মধ্যে রাখুন।
- ল্যাপটপের পাওয়ার সেভিং মোড ব্যবহার করুন।
- ওভারহিটিং থেকে ল্যাপটপকে রক্ষা করুন।
- অরিজিনাল চার্জার ব্যবহার করুন।
- ব্যাটারির চার্জ সম্পূর্ণরূপে শেষ করা এড়িয়ে চলুন।
- অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ রাখুন।
- ব্যাটারি চার্জ করার সময় ল্যাপটপ ব্যবহারের অভ্যাস পরিহার করুন।
- সঠিক সময়ে ব্যাটারি পরিবর্তন করুন।
- ল্যাপটপ দীর্ঘ সময় অব্যবহৃত থাকলে ব্যাটারি ৪০%-৫০% চার্জ করে রাখুন।
ল্যাপটপের ব্যাটারি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক যত্ন এবং সতর্কতা অবলম্বন করলে আপনি এর আয়ুস্কাল বাড়াতে পারবেন। ব্যাটারির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ, যেমন সঠিক চার্জিং রেঞ্জ বজার রাখা, ওভারহিটিং থেকে রক্ষা, এবং অরিজিনাল চার্জার ব্যবহার করা, আপনার ল্যাপটপের দীর্ঘস্থায়ী কর্মক্ষমতা নিশ্চিত করবে। আর যখন ব্যাটারি পরিবর্তনের সময় আসবে, তখন নিরাপদ এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। এতে আপনার ল্যাপটপের কার্যকারিতা অব্যাহত থাকবে।

Borhan Uddin Alif is a writer with years of experience, focusing on technology, marketing, and storytelling, and enjoys exploring various niches and topics.