ল্যাপটপ স্লো হয়ে গেলে করণীয়

ল্যাপটপ স্লো হয়ে গেলে করণীয়

অপেক্ষা কার ভাল লাগে? বিশেষতঃ ল্যাপটপ বুটিংয়ের সময় স্ক্রিণে ঘূর্ণাায়মান উইেন্ডাজের লোগো বা একটু ভারী সফটওয়্যার কিংবা একটা গেম ওপেন হবার সময়ের অপেক্ষাটাও  মনে হয় অনন্তকালের। অথচ প্রাত্যহিক জীবনে এই যন্ত্রণা নিতে হয়নি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। নতুন একটা ল্যাপটপ কেনার পর কয়েকদিন খুব দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিচ্ছে। কিন্তু বছর দুই/ তিন যেতে না যেতেই দেখা গেল, একটা সামান্য কাজেও সে একটা বুড়ো ঘোড়ার মত হাঁপাচ্ছে। এমন অবস্থায় ল্যাপটপটা জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছা করলেও, সেটা তো আর করা যাচ্ছেনা.. তারচে’ বরং চলুন দেখি, এতদিনের বিশ্বস্ত সঙ্গীটাকে কিছুটা কাজের উপযোগী করে তোলা যায় কিনা।

আলোচনার সুবিধার্থে, এখানে উল্লেখিত সব টিপস্গুলোকে দুটো ভাগে ভাগ করে নেয়া হয়েছে। শুরুতে আমরা জানব সহজ কয়েকটি ধাপ সম্পর্কে। কপাল ভাল থাকলে আশা করা যায় এতেই কাজ হয়ে যাবে। প্রয়োজন হলে আমরা যাব আরেকটু গভীরে। তবে, পরের ধাপটি সম্পন্ন করতে আপনার কিছুটা প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে। এখানে উল্লেখিত কয়েকটি ধাপ সম্পর্কে আপনি হয়তো আগেই জানতেন; কিন্তু সবগুলো কি জানতেন? চলুন দেখি..

প্রাথমিক পদক্ষেপ:

এ পর্যায়ে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলোর জন্য আপনার তেমন পারদর্শী হবার দরকার নেই। স্বাভাবিক কিছু কাজকর্ম জানলে আপনি এই ধাপগুলো সহজেই সম্পাদন করে দেখতে পারেন, ডিভাইসটিকে তার আগের মত কর্মক্ষম অবস্থায় নিয়ে আসা যায় কিনা।

১. পিসি restart করুন:

খুবই সহজ কিন্তু ভীষণ কার্যকর এই ধাপটিকে উপেক্ষা করবেন না। অনেক সময় আমরা কাজ শেষে ল্যাপটপটিকে প্রথাগত উপায়ে shut down করি না; বরং স্রেফ মনিটরটি ভাঁজ করে রেখে পিসি Hibernate করে দেই। এতে কিন্তু ল্যাপটপটি restart হবার সুযোগ পায় না। কাজের প্রয়োজনেই আপনাকে অনেকগুলো সফটওয়্যার, প্রোগ্রাম বা ফাইল ওপেন করতে হচ্ছে। কাজ শেষে এগুলো বন্ধ করে দিলেও, কিছু সফটওয়্যার কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতেই থাকে। 

এছাড়া সফটওয়্যার আপডেট, bug report, troubleshooting-এর মত নানা ধরণের background task ভেতরে ভেতরে চলতে থাকে। এর ফলে অনেক সময় আপনার RAM তার নির্দিষ্ট ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি তথ্য নিয়ে কাজ করতে বাধ্য হয়। ল্যাপটপ restart করলে, এই সকল প্রক্রিয়াগুলো বন্ধ হয়ে যায়, RAM খালি হয় এবং operating system-টা নিজে নিজে reset হয়; আর ল্যাপটপটিও পূর্ণদ্দ্যোমে কাজের পরিসর পায়। এটা অনেকটা, একটা ভালো ঘুম শেষে নতুন দিন শুরু করার মত কাজ করে। আরও পড়ুন – ল্যাপটপ চালু হচ্ছে না? জেনে নিন কিভাবে করবেন প্রাথমিক ট্রাবলশ্যুটিং

২. রানিং প্রোগ্রামগুলি কমিয়ে ফেলুন:

কখনও খেয়াল করেছেন— আপনার ল্যাপটপে যখন অনেকগুলো এ্যাপ বা প্রোগ্রাম খোলা থাকে, তখন একটা ছোট কাজ করতেও যেন হাঁপিয়ে ওঠে। কখনো কখনো সামান্য মাউস স্ক্রলিংটাও ঠিকমত কাজ করে না। আপনার চালু করা প্রতিটা প্রোগ্রামই তো ডিভাইসের প্রসেসিং পাওয়ার ব্যবহার করছে। এমন অবস্থায় অপ্রয়োজনীয় কিছু প্রোগ্রাম বন্ধ করে দিয়েই তাৎক্ষণিক উপকার পেতে পারেন। উইন্ডোজ ব্যবহারীরা Ctrl+Shift+Esc চাপলে Task Manager-টি ওপেন হবে। এখানে আপনার অপারেটিং সিস্টেমের CPU, Memory, Disk এবং Network ব্যবহারের শতকরা হার দেখাবে। এই উইন্ডোটা ভাল করে খেয়াল করলে দেখবেন, অপারেটিং সিস্টেমের প্রতিটা সার্ভিস আলাদা আলাদা ভাবে কতটুকু রিসোর্স ব্যবহার করছে সেটা দেখা যাবে। 

Mac-এর OS ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে এই উইন্ডোটির নাম হচ্ছে Activity Monitor; যা Command+Space চাপলে ওপেন হবে। এবার আপনার কাজ হচ্ছে, এই তালিকা থেকে খুঁজে খুঁজে অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করে দেয়া। তবে, এক্ষেত্রে আপনাকে ল্যাপটপে চলতে থাকা সবগুলো সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকতে হবে। এখানে আপনি চালু থাকা অপ্রয়োজনীয় প্রতিটা প্রোগ্রাম ম্যানুয়ালি বন্ধ করে দিতে পারেন। এতে আপনার ল্যাপটপ তো কিছুটা গতিশীল হবেই, সঙ্গে multitasking বিশৃঙ্খলা এড়ানোর জন্য আপনার ব্রেনও আপনাকে ধন্যবাদ জানাবে।

৩. Virus এবং Malware-গুলো অপসারণ করুন:

আপনার Disk drive-এ লুকোচুরি খেলতে থাকা Virus এবং Malware-গুলো কেবল আপনার ডাটা চুরি করেই ক্ষান্ত হয় না। এগুলো আপনার system resources ব্যবহার করে আপনার প্রতিটা এ্যাপ, প্রোগ্রাম এবং ফাইলগুলোও ঘাঁটাঘাঁটি করতে থাকে, যার স্বাভাবিক পরিণতি হচ্ছে— ডিভাইসটির গতি কমে যাওয়া। এটা থেকে মুক্তি পেতে উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা আস্থা রাখতে পারেন অপারেটিং সিস্টেমের ডিফল্ট এন্টিভাইরাস Windows Defender-এর ওপর। আর Mac-এর বিল্ট-ইন এন্টিভাইরাসটির নাম XProtect। এছাড়াও আপনি চাইলে বাজারের অন্যান্য থার্ড-পার্টি এন্টিভাইরাসগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এন্টিভাইরাসের স্ক্যানে প্রাপ্ত যেকোন এন্ট্রিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় quarantine বা remove করে ডিভাইসটিকে সুরিক্ষত আর গতিশীল রাখুন।

৪. নিয়ন্ত্রণে রাখুন Startup Program-গুলি:

খেয়াল করুন তো, ল্যাপটপটা চালু হতে কি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি সময় লাগছে? আপনার পিসিটা চালু হবার সঙ্গে সঙ্গেই, স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যে Startup Program-গুলিও চালু হচ্ছে— তার কয়েকটা তো নিশ্চয়ই দরকারী। কিন্তু চেক করে দেখুন তো সবগুলিই দরকারী কিনা? উইন্ডোজে Ctrl+Shift+Esc চেপে Task Manager চালু করলেই দেখবেন বাম পাশে Startup apps আছে। সেখানে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন Startup Program-গুলির তালিকা। যেগুলো লাগছে না, disable করে দিন। Mac ব্যবহারকারীদের যেতে হবে System Settings → General → Login Items-এ। মনে রাখবেন, যত কম Startup Program, তত দ্রুত Booting..

৫. কিছু জায়গা খালি করুন:

Storage একদম নাকে-মুখে full থাকলে, সেটা আপনার RAM-এর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করে। অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলি খুঁজে বের করে ফেলে দিন। এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন উইন্ডোজের Disk Cleanup সার্ভিসটি। একবার চালু করে দিলে, এটাই বিভিন্ন জায়গা থেকে খুঁজে অদরকারী এবং temporary file-গুলি ফেলে দিবে। Mac-এ এই সার্ভিসটি পাওয়া যাবে About This Mac → Storage → Manage-এ গেলে। এরপরেও প্রয়োজন হলে, পুরো স্টোরেজটা নিজেই একবার খুঁজে দেখুন অপ্রয়োজনীয় কোন ফাইল বা সফটওয়্যার আছে কিনা। পারলে কিছু সরিয়ে রাখতে পারেন external drive অথবা cloud storage-এ।

৬. Operating System এবং Driver-গুলি আপডেট করুন:

উইন্ডোজের সেটিংস-এ গেলেই, বাম পাশে সবার নিচে দেখবেন Windows Update নামে একটি ট্যাব আছে। সেখানে যদি কোন আপডেট এসে থাকে, তবে আপনার OS-টি এখনি আপডেট করে নিন। MacOS-এ অপশনটি পাবেন System Settings → General → Software Update-এ গিয়ে। সঙ্গে চেক করে নিন, ব্যবহৃত সব হার্ডওয়্যার Driver-গুলোও আপডেটেড আছে কিনা। এজন্য Mac ইউজারদের যেতে হবে About This Mac থেকে System Report ট্যাবে; যেখানে Mac-এর Hardware, Software এবং Driver সম্পর্কে সব তথ্য পেয়ে যাবেন। আর উইন্ডোজের Driver-গুলো পাবেন Device Manager এ্যাপটিতে। এ প্রক্রিয়াটি যথাযথভাবে সম্পাদন করলে আপনি কেবল গতিই পাবেন না, ডিভাইসের নিরাপত্তা এবং পারফরম্যান্সও নিশ্চিত হবে।

৭. Power vs Performance Settings-টি সামঞ্জস্য করুন:

Windows কিংবা Mac, দুটো অপারেটিং সিস্টেমই কিন্তু আপনাকে Performance আর Battery power সমন্বয়ের সুবিধা দেয়। অর্থ্যাৎ এই ফিচারটি ব্যবহার করে আপনি নির্ধারণ করতে পারবেন, আপনি কোনটা চান— আরও ভাল আউটপুট নাকি আরও দীর্ঘ ব্যাটারি ব্যাকআপ। উইন্ডোজে Settings → System → Power & battery → Power mode আর Mac-এ System Settings → Battery। ল্যাপটপের গতি বাড়াতে চাইলে এখনি এই ফিচারটিতে গিয়ে স্থায়িত্ব আর গতির আপোষটা সেরে নিতে পারেন। আরও পড়ুন – শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা ৭ ল্যাপটপ

পরবর্তী পদক্ষেপ:

আপনার ডিভাইসটি দুই/ তিন বছর বা তারও বেশি পুরনো হয়ে গিয়ে থাকলে বা আপনি ডিভাইসের ধারণক্ষমতার তুলনায় বেশি শক্তিসম্পন্ন কাজ করতে চাইলে আপনাকে এই ধাপের কয়েকটি পদক্ষেপ পালন করতে হবে। তবে ল্যাপটপের যন্ত্রাংশ কিংবা Operating System বিষয়ে কিছুটা জানা না থাকলে, এ ধাপের কাজগুলো করতে একজন Tech-savvy কাউকে সঙ্গে রাখুন। প্রথমবারের মত কিছু করতে গিয়ে, এক পর্যায়ে গতি বাড়াতে দুর্গতি না হয়ে যায়..!

১. ল্যাপটপটি পরিষ্কার করুন:

হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন.. ল্যাপটপটি খুলে ভালমত পরিষ্কার করলেও, সেটা আপনার ডিভাইসটিকে ভাল পারফর্ম করতে সাহায্য করে। ছোট একটি বাক্সে অনেকগুলো যন্ত্রাংশ স্থাপনের কারণে এর ভেতরে বাতাস চলাচলের সুবিধা নেই। ফলে ল্যাপটপে প্রায়ই ধুলো জমে কুলিং ফ্যানটি আটকে গিয়ে, ডিভাইস অতিরিক্ত গরম হয়ে উঠতে পারে। সেটা একটা নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি হলে ডিভাইসটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই প্রসেসরটিকে কম শক্তিতে কাজ করানোর চেষ্টা করে এবং ল্যাপটপ ধীর গতির হয়ে পড়ে। হাতের কাছে স্ক্রু-ড্রাইভার থাকলে, পেছনের আবরণটি সাবধানে খুলে ব্লোয়ার দিয়ে ভেতরের ধুলোটুকু পরিষ্কার করে, আবার লাগিয়ে নিন। নিজে না পারলেও সমস্যা নেই। এখন অনেক ল্যাপটপ সার্ভিসিং সেন্টার এই ক্লিনিং সার্ভিস প্রদান করে।

২. নতুন করে Operating System ইনস্টল করুন:

দীর্ঘদিনের ব্যবহারে আপনার স্টোরেজে প্রচুর জাংক ফাইল জমে গিয়েও ডিভাইসটি স্লো হয়ে যেতে পারে। এই অচলাবস্থা কাটাতে অপারেটিং সিস্টেম নতুন করে ইনস্টল করাই সবচেয়ে কার্যকর উপায়। তবে এক্ষেত্রে বেশ কিছু ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে।

  • আপনার ডিভাইসে original equipment manufacturer (OEM) certificate সম্বলিত জেনুইন অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা থাকলে; সেটা ফরম্যাট করার আগে বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে নিন। সুযোগ থাকলে, তাদের সহযোগিতা নিয়েই কাজটি করুন। অন্যথায় জেনুইন অপারেটিং সিস্টেম ফেলে দিয়ে আপনাকে ক্র্যাক ভার্সনটি চালাতে হতে পারে।
  • ডিভাইসটি ওয়ারেন্টির আওতাধীন থাকলেও একইভাবে ওয়ারেন্টি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে নেয়া উচিৎ।
  • ওএস নতুন করে ইনস্টলের আগে অবশ্যই একটি এক্সটার্নাল ড্রাইভে প্রয়োজনীয় ফাইলগুলোর ব্যাকআপ নিয়ে রাখুন।
  • কাজটি আগে না করে থাকলে, অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে রাখুন।

৩. SSD (solid-state drive) সংযোজন করুন:

বর্তমান সময়ে পিসি’র গতি বাড়ানোর জন্য এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি। আপনার সিস্টেমটি এখনো hard disk drive (HDD) চালিত হলে, অন্তত অপারেটিং সিস্টেমটা SSD-তে ইনস্টল করে দেখুন। ফলাফল দেখে চমকে যাবেন। বুটিং টাইম তো কমবেই সঙ্গে অন্যান্য কাজেও ভাল গতি পাওয়া যাবে। যে দোকান থেকে SSD কিনবেন, সেখানেই এটা ল্যাপটপে লাগিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকে। না হলে, দুই/ চারটা ইউটিউব ভিডিও দেখে কাজটা আপনি নিজেও করতে পারেন। তবে, তার আগে আপনার ল্যাটপের মডেল এবং বিভিন্ন ধরণের SSD সম্পর্কে কিছুটা জানা থাকা আবশ্যক।

৪. RAM আপগ্রেড করুন:

আপনার ডিভাইসটি যদি ক্রমাগত low memory-এর অভিযোগ করতে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে এটার আরও RAM (Random Access Memory) প্রয়োজন। সাধারণত ল্যাপটপে দুটি RAM স্লট থাকে। আপনার একটি স্লটে বর্তমান RAM-টি লাগানো থাকলে, অন্য স্লটটিতে সমপরিমাণ RAM লাগিয়ে নিতে পারেন। সাধারণ ডিভাইসগুলোতে কাজটা তেমন কঠিন কিছু না। কেবল পেছনের ডালাটা স্ক্রু-ড্রাইভার দিয়ে খুলে র‍্যাম স্লটে নতুন RAM-টা লাগিয়ে দিলেই কাজ শেষ। তবে তার আগে দেখে নিতে হবে, আপনার ডিভাইসটি কোন ধরণের RAM সাপোর্ট করে।

৫. BIOS বা Firmware আপডেট করুন:

যদিও এটা বেশ এ্যাডভান্স প্রক্রিয়া, তবু ল্যাপটপের বেশ কিছু সমস্যা মোকাবেলায় এই প্রক্রিয়াটি বেশ কার্যকর। Firmware হচ্ছে হার্ডওয়্যারের সঙ্গে সিস্টেমের সংযোগ স্থাপনকারী কোড। আপনার ল্যাপটপ প্রস্তুতকারক কোম্পানীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গেলে আপনার নির্দিষ্ট মডেলটির জন্য কোন BIOS বা Firmware আপডেট আছে কিনা, সেটা জানা যাবে। আপডেট থাকলে, সাইটে উল্লেখিত নির্দেশাবলী অনুসরণ করে সেটা আপডেট করে নিন। এক্ষেত্রে পূর্ব সতর্কতা হিসেবে স্টোরেজের জরুরী ফাইলগুলোর আলাদা ব্যাকআপ নিয়ে রাখুন।

মনে রাখবেন, বেশিরভাগ সময় খুব সামান্য কিছু কাজ করেই আপনার ডিভাইসটিকে আগের মত সচল করে তোলা সম্ভব। তাই হাল ছাড়বেন না। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি আজকের লেখায় উল্লেখিত টিপস্গুলো কাজে লাগাতে পারলে, শুধু আপনার নয়— ভালো থাকবে আপনার প্রিয় মানুষদের ল্যাপটপগুলোও। নতুন ল্যাপটপ দেখতে ভিজিট করুন – Vertech.

Similar Posts